গুরুত্বপূর্ণ
দালাল /এজেন্ট এবং জাল ভিসার প্রতিশ্রুতি থেকে সাবধান থাকুন।
ফর্ম পূরণ করার সময় - বাংলাদেশে থাকার ঠিকানা পূরণ করা বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আপনি ফর্মটি সঠিক পূরণ করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন।
সমস্ত বাংলাদেশী ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরিদর্শনকারী আবেদনকারীদের জন্য নিরাপত্তা বিজ্ঞপ্তিঃ
নিরাপত্তা জনিত কারনে, নিম্নলিখিত আইটেমগুলি ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ভিতরে অনুমতি দেওয়া বা সংরক্ষণ করা হবে না।
• সমস্ত ব্যাটারি চালিত বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট যেমন মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, অডিও / ভিডিও ক্যাসেট,
কমপ্যাক্ট ডিস্ক, এমপিথ্রি, ফ্লপি, ল্যাপটপ বা পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ার।
• সমস্ত ব্যাগ যেমন ট্রাভেল ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ব্রিফকেস, স্যুটকেস, চামড়া / পাট / কাপড়ের ব্যাগ
এবং জিপ ফোল্ডার।শুধুমাত্র আপনার আবেদন সংক্রান্ত কাগজ পত্র সম্বলিত একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ
অনুমোদিত হবে।
• সিল করা খাম বা প্যাকেজ।
• যে কোনো দাহ্য বস্তু যেমন ম্যাচবক্স / লাইটার / জ্বালানি ইত্যাদি।
• যে কোন ধারালো বস্তু যেমন কাঁচি, কলম ছুরি বা নেইলফিলার।
• অস্ত্র বা অস্ত্র যেমন বস্তু বা যে কোনো ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ।
উপরে দেওয়া তালিকা সীমাবদ্ধ নয়। নিরাপত্তা কর্মীদের বিবেচনার ভিত্তিতে অন্যান্য আইটেম নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। নিরাপত্তা কর্মীরা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন যে কোনো সময় আবেদনকারীর ব্যাগ পরীক্ষা করার জন্য অনুমোদিত।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে, আমরা ভিসা আবেদনকারীদের সাথে বন্ধু, আত্মীয় বা ব্যবসায়িক পরিচিতির মতো আগ্রহী ব্যক্তি / ব্যক্তি বর্গকে অনুমতি দিই না। যাই হোক, দোভাষীদের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে শ্রবণ-প্রতিবন্ধী আবেদনকারীদের সাথে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী আবেদনকারীদের সাথে আমাদের কর্মীরা থাকবেন।
অনুগ্রহ করে লক্ষ্য করুন:
ভিসা আবেদন কেন্দ্রে উপরোক্ত নিষিদ্ধ আইটেমগুলি সংরক্ষণ করার কোন সুযোগ নেই।আবেদনকারীদের কেন্দ্রে
প্রবেশের আগে এটি রাখার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক জারীকৃত তিনটি ব্যাগেজ বিষয়ক বিধিমালা রয়েছে; যথা –
(১) যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬
(২) বিমানযাত্রী Unaccompanied ব্যাগেজ (রপ্তানি) বিধিমালা, ১৯৯৯
(৩) পর্যটক ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ১৯৮১
উপরি বর্ণিত বিধিমালাসমূহের মাধ্যমে পর্যটক বা অপর্যটক যাত্রী ও ভ্রমণকারীদের শুল্ক রেয়াত ও সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
যে সকল যাত্রী শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য বহণ করবেন তাদেরকে উক্ত পণ্যের বর্ণনা ও পরিমান উল্লেখপূর্বক একটি ব্যাগেজ ঘোষণাপত্র কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে।
অপর্যটক যাত্রীদের জন্য সুবিধাদি:
যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬-এর আলোকে অপর্যটক যাত্রী কিছু সুবিধা ও শুল্ক রেয়াত পেয়ে থাকেন। আকাশ ও সমুদ্র পথে আগত অপর্যটক যাত্রীরা দু’ ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন; যথা:
(১) অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজের আওতায় আনীত ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, বই, ম্যাগাজিন, বহনযোগ্য প্রফেশনাল ইকুইপমেন্ট শুল্ক পরিশোধ ব্যতীত আমদানি করতে পারবেন।
এছাড়াও ব্যাগেজ বিধিমালার শিডিউল-৩ এ বর্ণিত দ্রব্যাদি একটি করে শুল্ক-কর পরিশোধ ব্যতীত আমদানি করতে পারবেন (যাত্রীর মোবাইল ফোন ২ সেট এবং অন্যান্য আইটেম ১ টি করে)। অধিকন্তু, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ বা ২০০ গ্রাম রৌপ্য (উভয় ক্ষেত্রেই ১২ পিস অলংকারের বেশী নয়) বিনা শুল্কে আমদানি করতে পারবেন।
অপর্যটক যাত্রীদের শুল্ক মুক্ত সুবিধাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: Traveller Info –> Duty Free Allowances –> Non-Tourists Duty Free Allowances
(২) যাত্রী (অপর্যটক) বিধিমালার শিডিউল-২ - এ যাত্রীগণ কি কি গৃহস্থালী জিনিষপত্র ও ব্যক্তিগত দ্রব্যাদি শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি করতে পারবেন, তার একটি তালিকা দেয়া রয়েছে। শিডিউল-২ এ বর্ণিত তালিকাভূক্ত পণ্যাদি নির্ধারিত/---- শুল্ক- কর পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য।
অপর্যটক যাত্রীদের ব্যাগেজ এ্যালাউন্স সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: Traveller Info –> Duty Free Allowances –> Non-Tourists Baggage Allowances
যে সমস্ত যাত্রী স্থল পথে বাংলাদেশ প্রবেশ করবেন, তারা সর্বোচ্চ ৪০০ (চার শত) মার্কিন ডলার মূল্যমানের জিনিসপত্র শুল্ক-মুক্ত সুবিধায় আনতে পারবেন।
সকল অপর্যটক যাত্রীদেরকে ব্যাগেজ বিধিমালার শিডিউল-১ - এ উল্লিখিত ঘোষণাপত্র পূরণ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে।
ব্যাগেজ ঘোষণাপত্র ডাউনলোড করতে ভিজিট করুন: Traveller Info –> Baggage Declaration From –> Non-Tourists Baggage Declaration Form
সাধারণত: বন্দরে আগমনের পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে যাত্রীরা কনভেয়র বেল্ট থেকে ব্যাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস হল ত্যাগ করে থাকেন।
যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা ২০১৬ ডাউনলোড করতে ডান পাশের ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন।
পর্যটক যাত্রীদের জন্য সুবিধাদি:
পর্যটক হচ্ছেন সে সকল ব্যাক্তি যারা ২৪ ঘন্টার বেশি এবং সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাস বাংলাদেশে অবস্থান করে থাকেন। তবে তারা অবশ্যই কোন লাভজনক কার্যক্রম বা পেশায় সম্পৃক্ত থাকবেন না। একজন পর্যটক ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র, জুয়েলারী, বাইনোকুলার, ফটোগ্রাফিক ক্যামেরা, পার্সোনাল কম্পিউটার ইত্যাদি শুল্ক-কর পরিশোধ ব্যতীত আমদানি করতে পারবেন।
পর্যটক ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ১৯৮১ ডাউনলোড করতে ডানপার্শের ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন।
বিমানযাত্রীদের জন্য সুবিধাদি:
বিমানযাত্রী Unaccompanied ব্যাগেজ (রপ্তানি) বিধিমালা, ১৯৯৯ মোতাবেক ব্যাগেজ বলতে বুঝায়, যুক্তিসঙ্গত পরিমানে ব্যবহৃত বা নতুন জামাকাপড় এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ও উপহার সামগ্রী।
এ সম্পর্কিত এসআরও/বিধিমালা ডাউনলোড করতে ডানপার্শের ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন।
তিনটি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে এ বিধিমালার আলোকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ Unaccompanied ব্যাগেজ রপ্তানির অনুমতি দিতে পারেন। যথা:
(অ) যাত্রীর যাত্রা শুরুর অন্তত তিন ঘন্টা পূর্বে Unaccompanied ব্যাগেজ সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে হাজির করতে হবে। ব্যাগেজকে যথাযথভাবে স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করাতে হবে।
(আ) IATA Standard Shipper’s Declaration ফরমে (www.iata.com) -এ যাত্রীকে এ মর্মে একটি ঘোষণা প্রদান করতে হবে যে উক্ত ব্যাগেজে কোন কমার্সিয়াল, রপ্তানি নিষিদ্ধ বা অবৈধ পণ্য নেই।
(ই) ব্যাগেজ সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপনের সাথে সাথে তিনি তা যথাযথ কাস্টমস কর্মকর্তাকে (সহকারী কমিশনার এর নিম্নে নহে) অবহিত করবেন।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে এ জাতীয় পণ্য স্ক্যানিং বা কায়িক পরীক্ষা করতে পারেন।
ব্যাগেজ খালাস সুবিধাদি:
কাস্টমস এলাকা অতিক্রমের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। যথা: গ্রিন চ্যানেল এবং রেড চ্যানেল।
গ্রিন চ্যানেল: যে সকল যাত্রীর কাছে কোন শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য থাকবে না – তারা সরাসরি এ চ্যানেল দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। তবে, যদি কাস্টমস কর্মকর্তাদের নিকট সন্দেহের যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে, তাহলে তারা গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকালে কোন যাত্রীকে থামিয়ে তল্লাশি করতে পারেন।
রেড চ্যানেল: যে সকল যাত্রীর কাছে শুল্কযোগ্য পণ্য থাকবে তারা এ চ্যানেল দিয়ে অতিক্রম করবেন।
উল্লেখ্য, যাত্রীকেই ব্যাগেজের সঠিক ঘোষণা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
বানিজ্যিক পরিমানে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর:
কোন যাত্রী যদি ব্যাগেজ বিধিমালার শিডিউল-২ এবং শিডিউল-৩ এ বর্ণিত পণ্য ব্যতীত অন্য পণ্য বা নির্ধারিত পরিমাণের অধিক পণ্য আমদানি করে (এছাড়াও আমদানি নিষিদ্ধ বা আমদানি নীতি আদেশ লঙ্ঘন করে আমদানি বা অন্য কোন আইন লঙ্ঘিত হলে), তাহলে উক্ত পণ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাময়িক আটক করবে। পরবর্তীতে যাত্রীকে সিসিআইএন্ডই অফিস থেকে আমদানির অনুমতি পত্র (Import permit) দাখিল, প্রযোজ্য শুল্ক-কর প্রদান এবং বিচারাদেশে প্রদত্ত জরিমানা পরিশোধ সাপেক্ষে উক্ত পণ্য খালাস করতে হবে।